কুমিল্লার হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বে অবহেলা ও অনৈতিক অর্থ দাবির অভিযোগে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত দুই নার্সের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটে গত ২৮ জুলাই। চিৎপুর গ্রামের আবদুল মতিনের মেয়ে স্বপ্না আক্তার (২০) প্রসব ব্যথা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। অভিযোগ অনুযায়ী, দায়িত্বে থাকা নার্স নাসরিন জাহান ও লিলি খাতুন রোগীর পরিবারের কাছে ৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা রোগীর সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেন এবং জোরপূর্বক প্রসব করানোর সময় রোগীর যৌনাঙ্গ ছিঁড়ে যায়।
এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে স্বপ্নাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আর্থিক সংকটের কারণে পর্যাপ্ত চিকিৎসা না পাওয়ায় তার অবস্থার অবনতি ঘটে। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বপ্না আক্তার মৃত্যুবরণ করেন।
ঘটনার পর ৯ আগস্ট স্বপ্নার বড় বোন আকলিমা আক্তার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর এলাকাজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি কুমিল্লার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
এরপর ০৪ অক্টোবর কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. আলী নুর মোহাম্মদ বশীর আহমেদ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটিতে ছিলেন তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সরফরাজ হোসেন খান, জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সুস্মিতা সাহা এবং সিনিয়র স্টাফ নার্স ইসমাত জাহান লুভনা।
সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে, তবে কমিটির সুপারিশ ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।



