পিরোজপুর প্রতিনিধি : গত ৮ সেপ্টেম্বর“ইত্যাদি ফার্নিচার মৌলভীবাজার” নামে এক ফেসবুক পেইজে ফার্নিচারের লোভনীয় পোস্ট দেখতে পান ভুক্তভোগি তন্নী আক্তার, যার পিতাঃ মোঃ ফজলুল হক সাং- উদয়তারা বুড়িরচর, থানা- মঠবাড়িয়া জেলা- পিরোজপুর।
ফেসবুক পেইজটি থেকে ১ টি সেগুন কাঠের খাট, ১ টি সেগুনের ওয়াল সোকেজ, ১ টি ওয়ারড্রপ, ১ টি ড্রেসিং টেবিল অর্ডার করেন তিনি। উক্ত পন্য গুলোর বাজার মূল্য আনুমানিক ১৫০,০০০ টাকা হলেও ডিসকাউন্টে তা অনেক কম দামে দেয়া হবে।
প্রতারকচক্র ডেলিভারী ম্যান ও কুরিয়ার সার্ভিসের লোক সেজে বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন দিয়ে এবং পণ্যের ডেলিভারীর ছবি প্রেরণ করে ভিকটিমের আস্থা অর্জন করে প্রতারণা করতে থাকে। তন্নী আক্তার ফার্নিচার বাবদ পোস্টে দেয়া বিকাশ নম্বরে বিভিন্ন সময়ে ৩০,২৫৯ টাকাও পাঠান।
অনেকদিন পার হয়ে গেলে পন্য হাতে না পেয়ে প্রতারণার বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযোগের ভিত্তিতে পিরোজপুরের পুলিশ সুপারের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন্স) মোঃ মুকিত হাসান খাঁন তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় নড়াইলের কালিয়ায় প্রতারক চক্রকে সনাক্ত করেন।
আজ বৃহস্পতিবার ৩ তারিখ পুলিশ সুপার জনাব খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের উদ্ধারকৃত ৩০,০০০ টাকা ভিকটিম তন্নি আক্তার হাতে তুলে দেন।