নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সংবাদদাতা :
নেছারাবাদে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মারধর, অফিস ভাংচুর ও আগুন সন্ত্রাসের ঘটনায় উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রনি দত্ত ও উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেলীগ সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম মিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহিদ মাহামুদসহ ৩৮ জনের নামে নেছারাবাদ থানায় মামলা হয়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২৫০-৩০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন নেছারাবাদ উপজেলা যুবদলের সদস্য মো. আসাদ।
মামলায় জড়িত উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেলীগ মো. শহিদুল ইসলাম মিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহিদ মাহামুদ, মো. মিন্টু ফকির এবং মো. হুমায়ুন কবিরকে বুধবার রাতেই গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সনের ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে দলীয় নেতাকর্মীসহ মিটিংয়ে অংশ গ্রহনের উদ্দেশ্যে স্বরূপকাঠী উপজেলা বিএনপি অফিসে যাওয়ার সময় এজাহার নামীয় আসামীগন সহ অজ্ঞাতনামা ২৫০/৩০০ জন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের ও স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিএনপি’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুরুচি পূর্ণ শ্লোগান দিয়ে তাদের হাতে দেশীয় বগি দাও, লোহার রড, জিআই পাইপ, লাঠিসোঠা নিয়ে আমাদের ধাওয়া করে। তখন তারা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের সাথে থাকা দেশীয় দা, জিআই পাইপ, লোহার রড দিয়া হত্যা করার উদ্দেশ্যে আক্রমন করে আমাদেরকে এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
আমরা আসামীদের ভয়ে জীবন বাঁচানের জন্য দৌড়ে পালানো কালে আসামীরা আমাকে ও নেতাকর্মীদের ধরে লোহার রড, জিআই পাইপ দিয়া এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে শরীবের বিভিন্নস্থানে সাধারন নীলা, ফুলা জখম করে। পরে আসামীরা আমাদের বিএনপি অফিসে ভাংচুর সহ আগুন লাগাইয়া অফিসের আসবার পত্র পুড়িয়ে আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে। মোটরসাইকেল যোগে নেছারাবাদ উপজেলা এলাকায় বিএনপি অফিসে ভাংচুর করে। আমাদের চিকিৎসা করার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেন সেখানেও বাধা প্রদান করে আসামীরা।
মামলার বাদী মোঃ আসাদ জানান, গত বছর আওয়ামীলীগের কর্মীরা আমাকেসহ আমার দলীয় নেতাকর্মীদের মারধর করে এবং আমাদের অফিস ভাংচুর করে অগুন সন্ত্রাস করে আমাদের ক্ষতি সাধন করে।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বনি-আমিন বলেন, ২০২৩ সনে বিএনপির অফিস ভাঙচুর, আগুন সন্ত্রাস ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মারধরের অভিযোগে ৩৮ জন নামীয় এবং অজ্ঞাত ২৫০-৩০০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। আসামীদের মধ্য চারজনকে গ্রেফতার করে পিরোজপুর কোর্টে চালান করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।