
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ শাপলা কলি প্রতীকে এবং তাঁর বাবা আমিরুল ইসলাম মোহাম্মদ আবদুল মালেক বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) একতারা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন বাবা ও ছেলে উভয়েই।
একই পরিবারের দুজন প্রার্থীর একসঙ্গে নির্বাচনী মাঠে নামাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। কেউ একে নবীন ও প্রবীণের প্রতীকী লড়াই হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ এটিকে রাজনৈতিক কৌশল কিংবা শক্তি প্রদর্শনের নতুন মাত্রা হিসেবে মূল্যায়ন করছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এমন ব্যতিক্রমী প্রার্থী বিন্যাস ভোটের মাঠে শক্তির ভারসাম্য ও নির্বাচনী পরিবেশে প্রভাব ফেলতে পারে।
এ বিষয়ে আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমি সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছি। তবে ভোটের রাজনীতি আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। ভোটার হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। এই আসনের অন্য প্রার্থীদের মধ্যে আমার বাবা একজন প্রবীণ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তি। তাই তাঁকে নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহ দিয়েছি। তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার সুযোগ পাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি শাপলা কলি প্রতীকে নির্বাচন করব এবং বাবার এই নির্বাচনী লড়াইকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই।’ এ বিষয়ে তাঁর বাবা আমিরুল ইসলাম মোহাম্মদ আবদুল মালেকের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।


