দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি
ঢাকার নবাবগঞ্জের যন্ত্রাইল ইউনিয়নের গবিন্দপুর এলাকার সৌদি-আরব প্রবাসী শ্রী রতন হালদারে স্ত্রী শিখা হালদার (২৩) এর মৃত্যু নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় শনিবার বিকালে এলাকাবাসী ও মৃতের স্বজনরা শিখা হত্যার বিচারের দাবিতে এলাকায় মানববন্ধন করেছে।
নিহত শিখা হালদারের পরিবারের সদস্যদের দাবি শিখাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়। শিখা ওই এলাকার মোহনবাশি হালদারের মেয়ে এবং নবাবগঞ্জের যন্ত্রাইল ইউনিয়নের গবিন্দপুর এলাকার সুনিল হালদারের ছেলে, সৌদি আরব প্রবাসী শ্রী রতন হালদারে স্ত্রী।
পুলিশ সূত্র জানায়, স্থানীয়দের কাছ থেকে পাওয়া সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দুপুরে, যন্ত্রাইল ইউনিয়নের গোবিন্দপুর শিখা হালদারের শশুরবাড়ি থেকে শিখার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে শিখার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা প্রেরন করা হয়।
মৃত শিখা হালদারের পরিবার ও তার স্বজনরা জানায়, শিখাকে তার শশুর বাড়ির লোকজন প্রায় মারধর করতো। গত বৃহস্পতিবার শিখাকে তার শশুর বাড়ি লোকজন মারধর করে। পরিবারের দাবি শিখাকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
শিখা হালদারের মা শারথী হালদারের দাবি করেন, তার মেয়ের শশুর বাড়ির লোকজন তার মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে রাখে। তিনি তার মেয়ের হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করার দাবি জানান।
অপরদিকে শনিবার বিকালে উত্তেজিত জনতা শিখার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শিখার শশুর বাড়িতে ভাংচুর করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
- নবাবগঞ্জ থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শনিবার সন্ধ্যায় শিখার মৃত দেহ তার পরিবারের কাছে পুলিশ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে স্থানীয় স্মসানের সভাপতি অপমৃত্যুর কোন লাস এখানে সৎকার করা যাবেনা বলে অনাগ্রহ প্রকাশ করলে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন -BHRC ঢাকা জেলার জেনারেল সেক্রেটারী ও দেশ পত্র পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নাছির উদ্দিন পল্লব ও তার টিম সেখানে উপস্থিত থেকে বিষয়টি সুরাহা করে লাশ সৎকারের ব্যবস্থা করে দেন।