স্টাফ রিপোর্টার:
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপজেলা পযার্য়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসটি উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা যৌথ সমন্বয়ে পরিচালিত হয়।
ফিল্ড লেভেলে ৮০% কাজ তদারকি করার দায়িত্ব পিআইও ১০% জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তার এবং ১০% উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার। মতলব উত্তর উপজেলা বর্তমান পিআইও মোঃ সেলিম খান, সে ২০২৪ সালে যোগদান করেন। এর পূর্বে তিনি ছিলেন কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায়।
যেখানে ছিল বরাদ্দের ছড়াছড়ি। যে উপজেলায় নাম মাত্র ৪০% কাজ হলে ৩০% টাকা ঘুষ নিয়ে বিল ছেড়ে দিয়ে সকল বিল থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। তার এই অনিয়মের ও দূর্নীতির বিষয়ে দুদকে অভিযোগ করা হয়েছে ।
দুদকে অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঢাকায় বিভিন্ন জায়গায় নামে বেনামে অঢেল সম্পদ গড়েছেন এই কর্মকর্তা।
যার রয়েছে আফতাবনগর ১০ কাঠা জমির উপর ভবন নির্মাণ কাজ চলমান। যার জমি মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। উত্তরায় রয়েছে একাধিক ফ্লাট। গ্রামের বাড়ি গজারিয়ায় কিনেছে ১০ একর জমি।
সেই ধারাবাহিকতায় দাউদকান্দি মতলব উত্তর উপজেলায় যোগদানের পর থেকে তার ঘুষের পরিমান দিনদিন বেড়েই চলছে।
জানাযায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার কাবিটা/কাবিখা কর্মসূচীর আওতায় ১ম ও ২য় পর্যায়ে কাবিটা ১৬৬৮৬১২০/- চাল ১১৯ মেট্রিক টন এবং গম ১১৯ মেট্রিক টন বরাদ্দ পাওয়া যায়। গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ টিআর কর্মসূচীর ১৫৮৫৬১১৩/- টাকা এবং ৩য় পর্যায়ে কাবিটা ৮৩৪৩০৬০/- চাল ৪৭ মেট্রিক টন এবং গম ৪৭ মেট্রিক টন বরাদ্দ পাওয়া যায়। গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ টিআর কর্মসূচীর ৫৯২৮০৫৬/- টাকা আওতায় সে আলোকে ইউনিয়ন পর্যায় হতে প্রকল্প প্রেরন পরর্বতীতে উপজেলা পরিষদের মিটিং এ যাচাই-বাছাই করে জেলা কর্ণধার মিটিং এ প্ররণ করে অনুমোদিত হয়ে উপজেলা আসে। তাছাড়া পরিপত্র মোতাবেক উপজেলা পিআইও এবং ইউএনও ২০% রিজার্ভ বরাদ্দ রাখতে পারে সেটা ইউনিয়ন এর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গুলো বাস্তবায়ন করতে। কিন্তু পিআইও উপজেলার কলাকান্দা এবং এখলাসপুর নামক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর সাথে যোগসাজশে রিজার্ভ বরাদ্দ এর বেশিরভাগ টাকা সে দুটি ইউনিয়ন পরিষদের দেখিয়ে নামে মাত্র কাজ করে হাতিয়ে নিতেছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
সকল প্রকল্প ইউনিয়ন থেকে ৫/৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে জনপ্রতিনিধিদেরকে সভাপতি করে কাজ শুরু করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ১ম চলতি বিল অগ্রিম প্রদান করবে। ইউএনও পিআইও এর যৌথ স্বাক্ষরে পিআইসি সভাপতিকে বিল প্রদান করবে । সে অনুযায়ী উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার বিল পাশ করে সভাপতির হাতে পোঁছাবে । ব্যাংক থেকে সভাপতি নিজ স্বাক্ষরে বিল উত্তোলন করবে। কিন্তু বাস্তবে তার উল্টো উপ-সহকারী প্রকৌশলী সালাউদ্দিন আহমেদ বিল স্বাক্ষর করে নিজেই হিসাব রক্ষন অফিস থেকে পাশ করে নিজে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে ১৫/২০% টাকা কেটে নেন। পরর্বতীতে পিআইসি সভাপতিকে বিল প্রদান করে।
গম চাল থেকে টন প্রতি ৫০০০/- টাকা দিতে বাধ্য করেন।
এ বিষয়ে পিআইসি বলেন এটা কিসের টাকা রাখলেন? তখন তিনি বলেন এটা সরকারি ভ্যাট আইটি। কিন্তু সরকারি পরিপত্র মোতাবেক টিআর/কাবিটা কোন ভ্যাট আইটি কর্তন হয় না। এটা তারা ঘুষ হিসেবে চালিয়ে নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলার একাধিক চেয়ারম্যানের সাথে পিআইসি সভাপতি/মেম্বারগনের সাথে কথা বললে এগুলোর সত্যতা জানা যায়।
সবার মনে প্রশ্ন ৫ই আগষ্টের আগে তো এগুলো নামে মাত্র ৩%-৪% টাকা নিতো এখন দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ফ্যাসিস্ট সরকারের উপজেলার পিআইও মতলব উত্তর উপজেলায় আসার পর থেকে কেন ২০% টাকা আদায় হচ্ছে।
তাছাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের ঝগঙউগজচঅ প্রকল্পের সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী সালাউদ্দিন আহমেদ সম্পর্কে একাধিক চেয়ারম্যান/মেম্বারদের অভিযোগ রয়েছে তারা জানান,
সালাউদ্দিন আহমেদ সাইড ভিজিটে গেলে দশ টাকার নিচে সাইড ভিজিট ছাড়া আসে না। জানা যায়, ৩০শে জুন ২০২৪ সালের তাদের সারা বাংলাদেশ একযোগে চাকরী মেয়াদ শেষ হয়। মেয়াদ শেষ হলেও সে এখনও আগের চেয়ারে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। বিভিন্ন ফাইলে স্বাক্ষর করতেছে।
তাকে টাকা দিলে বিল দ্রুত হবে না হয় বিল ঘুরাবে বাস্তবে তাই হচ্ছে । ১ম বিল অগ্রিম হবে কাজ শুরু করার জন্য কিন্তু তা হচ্ছে না। এদিকে বর্ষার মৌসুম দ্রুত চলে আসতেছে বৃষ্টির সময় কাজের খরচও বেশি পিআইসি সভাপতিকে বারবার ঘুরাচ্ছে।
তাদের সাথে পিআইও সেলিম খান অবৈধ ব্যবহারে তারা আরোও বেশি কষ্ট পাচ্ছে। পরিপত্র মোতাবেক কাজ না করে নিজের আইনে অফিস পরিচালনা করেন এই কর্মকর্তা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টাকা আদায় এবং নগদ টাকা বিতরনের মূল দায়িত্বে রয়েছে উপ-সহকারী প্রকৌশলী সালাউদ্দিন আহমেদ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ জানান, বিষয়টি আমরা জেনেছি তিনি মূলত অফিস করেন না আর টাকা ছাড়া ফাইল ছাড়েন না।
টিআর কাবিখা কাবিটা থেকে ২০% পর্যন্ত টাকা আদায় করেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী সালাউদ্দিন আহমেদ এর মাধ্যমে।
এবিষয়ে পিআইও সেলিম খানের বক্তব্য নিতে গেলে তাকে তার অফিসে পাওয়া যায়নি। পরর্বতীতে স্বাধীন ভোরের প্রতিবেদক তার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি জানান, আমি আজকে অফিসে আসিনি রবিবার অথবা সোমবার আসবো তখন আপনার সাথে কথা বলবো।
এবিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও চাঁদপুরের জেলাপ্রশাসকের সাথে যোগাযোগের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি কলটি রিসিভ করেননি।