নিজস্ব প্রতিবেদক :- রংপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক বায়ান্নোর আলোতে ৩ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত ‘আ.লীগ সুবিধাভোগী ২১ ডিসির মধ্যে রংপুরের ডিসি’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটিতে রংপুরের জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালকে জড়িয়ে রংপুর প্রেসক্লাব ও সদস্যদের বিষয়ে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা যা সর্বৈব অসত্য, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত, আইন-বিধি পরিপন্থী এবং মানহানিকর। দীর্ঘ দিন থেকে মাত্র ৩২ জন সাংবাদিকের হাতে কুক্ষিগত রংপুর প্রেসক্লাব উস্মুক্তকরণ প্রক্রিয়ায় আইন মেনে সমাজসেবা অধিদপ্তর কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যা রংপুরের সকল সাংবাদিককর্তৃক সমাদৃত। এই প্রক্রিয়ায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের নির্দেশনায় রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রংপুর প্রেসক্লাবের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই প্রক্রিয়ায় কোনভাবেই রংপুর জেলা প্রশাসক জড়িত নন। প্রকাশিত ওই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে রংপুর প্রেসক্লাবের ১০৫ জন সদস্য। এ ব্যপারে প্রেসক্লাব রংপুরের সদস্যবৃন্দের বক্তব্য নিম্নরুপ।
প্রকাশিত ওই সংবাদটির একাংশে বলা হয়েছে , ‘জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল। ২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর রংপুর জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন। অভিযোগ রয়েছে, যোগদানের পর তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, কিছু রাজনৈতিক দলের নেতা ও পতিত সরকারের সহযোগি কিছু বিতর্কিত সাংবাদিকদের নিয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করেন। ওই সিন্ডিকেট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের নামে মামলা, হয়রানি, ট্যাগিং, চাঁদাবাজি, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের বদলি, পদায়ন, বাণিজ্য, হাট ইজারা দেয়ার নামে বিপুল পরিমান অর্থ ভাগবাটোয়ারা করেন।’
প্রকাশিত সংবাদের এই তথ্য মনগড়া, কল্পনা প্রসুত, অসত্য। ওই সংবাদে ‘অভিযোগ রয়েছে’ উল্লেখ করে সাংবাদিককতার আইন না মেনে পত্রিকাটিতে তথ্য প্রমাণছাড়া সাংবাদিকদের জড়িয়ে এই ধরণের মিথ্য তথ্য উপস্থাপন করায় রংপুরের গণমাধ্যমকর্মীদের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। যা মানহানিকরও বটে। এতে সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদের আরেকাংশে বলা হয়েছে, ‘জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল আওয়ামীলীগ আমলে তার বিতর্কিত কর্মকান্ডকে ঢাকতে ফ্যাসিস্ট সরকারের মদদপুস্ট মাদক, জমি দখল, নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন মামলার আসামী নামধারী সাংবাদিকদের নানাভাবে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন। সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রেসক্লাব নিবন্ধন ইস্যুকে কেন্দ্র করে তিনি সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে অতি উৎসাহি চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে প্রেসক্লাবের দায়িত্ব অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করিয়েছেন। সেই সাথে প্রেসক্লাব সদস্যদের ক্লাবে প্রবেশ বন্ধ করিয়ে দেন। প্রেসক্লাবে সদস্য অন্তর্ভূক্তিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তিনি ১৪ অক্টোবর প্রেসক্লাব প্রশাসকের মাধ্যমে প্রতারণা, মাদক, জমি দখল, নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন মামলার আসামী নামধারী সাংবাদিক ১০৫ জনকে প্রেসক্লাবে সদস্যভূক্ত করিয়ে জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটে তালিকা প্রকাশ করেন। এনিয়ে সাংবাদিকসহ সচেতন মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ’
প্রকাশিত সংবাদের এই তথ্যগুলোও মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং দীর্ঘদিন প্রেসক্লাবকে কুক্ষিগত করে রাখা চিহ্নিত মহলটির দ্বারা সৃজিত। এরমাধ্যমে রংপুরের ২৪ এর জুলাই অভ্যুত্থানে সামনে থেকে সংবাদ পরিবেশনকারী মূল ধারার সিনিয়র জুনিয়র গণমাধ্যমকর্মীদের সুনাম ক্ষুন্ন ও মানহানি করা হয়েছে। একই সাথে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সংবাদে রংপুরের জেলা প্রশাসককে সাংবাদিক এবং প্রেসক্লাবের সাথে জড়ানো হয়েছে। যা মিথ্যা ও বানোয়াট। বিগত ১৬ বছরের ফ্যাবিবাদি আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সুযোগসুবিধা গ্রহনকরে বিপুল সম্পদের অধিকারী চিহ্নিত কয়েকজন সাংবাদিক কর্তৃক অনৈতিক সুবিধা হাসিল করতে না পারায় জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে এই মনগড়া কাল্পনিক গল্প তৈরি করা হয়েছে। যা পত্রিকাটি যাছাই বাছাই না করেই প্রকাশ করে রংপুরের সাংবাদিকমহল ও জেলা প্রশাসকের সুনাম ক্ষুন্ন এবং মানহানি করেছেন। একই সাথে পত্রিকাটি জুলাই অভ্যুত্থানের আকাংখা ও উদ্দেশ্যকে চ্যালেঞ্জ করে পুরোনো ফ্যাসিবাদি কাঠামোকে ফিরিয়ে আনার পক্ষে সাফাই গাইছেন।
এই পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রংপুর প্রেসক্লাব উম্মুক্তকরণ প্রক্রিয়ায় সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান, অবৈধভাবে প্রবেশ এবং মালামাল ও কাগজপ্রত্র চুরির অভিযোগে সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক মামলার ( ৩০/৩০, তাং-২৩ জানুয়ারী ২০২৫, কোতয়ালী থানা,আরপিএমপি, রংপুর) এজাহার নামীয় ৬ নম্বার আসামী। জামিন না নিয়ে তিনি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোসহ সকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অপ প্রচার চালাচ্ছেন। কিন্তু পুলিশ গ্রেফতার করছে না। এছাড়াও তার পুত্র ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে জুলাই আন্দোলনে ছাত্র জনতার ওপর হামলা, হত্যাচেস্টার মামলার আসামী হিসেবে গ্রেফতার হয়। পত্রিকাটির প্রকাশকসহ কর্তৃপক্ষ এখনও ফ্যাসিবাদী কার্যক্রমকে ফিরিয়ে আনতে এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার অংশ হিসেবে রংপুরের ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক নেতা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বলে আমরা মনে করি। এ বিষয়ে রংপুর নগরবাসিসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
প্রকৃত ঘটনা হলো এই যে, রংপুরে দুইশতাধিক গণমাধ্যমকর্মী থাকলেও বিগত ৩৩ বছরে রংপুর প্রেসক্লাবের সদস্য সংখ্য ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত ছিল মাত্র ৩২ জন। এতেই স্পস্ট হয়, কারা রংপুর প্রেসক্লাবকে কুক্ষিগত করে এর সম্পদ ও সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছে। অথচ প্রেসক্লাবটিকে জেলা প্রশাসন জমি দেয় রংপুরে কর্মরত সকল সাংবাদিকদের জন্য।
রংপুর প্রেসক্লাব গত ১৯৯১ সালের ১৪ জুলাই জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, রংপুর কর্তৃক স্মারক-সসেআদ/রং/শা-রেজি/১১৮৩(৪) এ রেজিষ্ট্রেশনভূক্ত হয়। যার নিবন্ধী নম্বর-রং/৩৫৯/৯১। যা ১৯৯১ সালের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় আওতাধীন স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা সমুহ (রেজিষ্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রন) অধ্যাদেশ ১৯৬১ এর আইনের আওতায় নিবন্ধিত সংগঠন। এই কারণে প্রেসক্লাব রংপুর কে উল্লেখিত রেজিষ্ট্রেশন আইনের বিধিমালা ও অধ্যাদেশ অনুযায়ী পরিচালিত হওয়া বাধ্যতামূলক। এই বিধিবিধান ও অধ্যাদেশ মতে নিবন্ধিত সংস্থার গঠনতন্ত্র সংশোধন, আয়-ব্যয় এর হিসাব এবং গঠিত কার্যকরি কমিটির অনুমোদন নিবন্ধিত সংস্থা থেকে কমিটি গঠনের ১৫ দিনের মধ্যে অনুমোদন নেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
কিন্তু নিবন্ধনের ৩৩ বছরে এই বিধি-বিধান উপেক্ষা করে গুটি কয়েক সাংবাদিক প্রেসক্লাবকে কুক্ষিগত করে রেখেছিল। গত বছর ৫ আগস্টের পর বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক আন্দোলনের ব্যানারে প্রেসক্লাবকে ফ্যাসিবাদি কায়দায় কুক্ষিগত অবস্থা থেকে কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য উম্মুক্ত করতে সাংবাদিকের পক্ষ থেকে একটি কমিটি অনুমোদনের জন্য গত ০১.০৯.২০২৪ খ্রীঃ সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করা হয়। এরপর শুনানী এবং তদন্ত অন্তেঃ তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশের আলোকে স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা সমুহ (রেজিষ্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রন) অধ্যাদেশ ১৯৬১ এর ৯ এর ২ ধারা ও বিধিমালা ১৯৬২ এর বিধান মতে রংপুর বিভাগীয় সমাজসেবা অধিদপ্তর (স্মারক নম্বর-৪১.০০.০০০০.০৪৬.২৭.০১০.২৪.২৪ তারিখঃ ১৫.০১.২০২৪ খ্রীঃ) মূলে প্রেসক্লাবের তৎকালিন কমিটি (সভাপতি-মোনাব্বর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মেরিনা লাভলীর নেতৃত্বাধীন) বরখাস্ত করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট প্রেসক্লাব রংপুরের তত্ত্বাবধায়ক কমিটি গঠন করে।
এরপর (স্মারক নম্বর-৪১.২৭.৮৫০০.০০০.২৭.০৩১.২৫.৪৮(১৫) তারিখঃ ১৯.০১.২০২৫) মূলে প্রেসক্লাবের বরখাস্তকৃত কমিটিকে তত্ত্বাবধায়ক মণ্ডলীর কাছে দায়িত্বভার দেয়ার জন্য আদেশ জারি করে পত্র প্রদান করে সমাজসেবা অধিদপ্তর। কিন্তু বরাখাস্তকৃত কমিটি আদেশ অমান্য করে তত্ত্বাবধায়ক মণ্ডলীকে দায়িত্ব ও নথিপত্র হস্থান্তর না করায় ২৯.০১.২৫ তারিখে সমাজসেবা অধিদপ্তর, ঢাকা কর্তৃক (স্মারক নম্বর-৪১.০০.০০০০.০৪৬.২৭.০১.২৪.৫৯ মূলে তত্ত্বাবধায়ক মণ্ডলী গঠনের আদেশ সংশোধন পূর্বক (বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, রংপুরের স্মারক নম্বর-০৫.৪৭.০০০০.০০৫.০২.০০৩.২২.৮১ তারিখ-২৭.০১.২০২৫ মূলে) রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ ময়নুল ইসলামকে প্রেসক্লাব, রংপুরের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগের আদেশ জারী করে।
সেই আদেশ মূলে প্রেসক্লাব রংপুরের নিয়োগকৃত প্রশাসক (স্মারক নম্বর-০৫.৫৫.৮৫০০.০১১.১২.০৬১.২৪-৫৪, তারিখ ২৯.০১.২৫ মোতাবেক) ৩০.০১.২৫ তারিখে-প্রেসক্লাব রংপুরের দায়িত্বভার গ্রহণ ও কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর (স্মারক নম্বর-৪১.০০.০০০০.০৪৬.২৭.০০১০.৪২.৫১২, তারিখ ২৫.০৬.২০২৫ খ্রীঃ) মূলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ ময়নুল ইসলাম (১৭৩৩৮) জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে বদলি হওয়ায় তাকে প্রেসক্লাব রংপুরের প্রশাসকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার স্থলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রংপুরকে প্রেসক্লাব, রংপুরের প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। সে হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, রংপুর প্রেসক্লাব, রংপুরের আইনগতভাবে বৈধ প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সমাজসেবা কর্তৃপক্ষের সেই আদেশে (স্মারক নম্বর-৪১.০০.০০০০.০৪৬.২৭.০১০.২৪.২৪ তারিখ ঃ ১৫.০১.২০২৪ খ্রীঃ) সমাজসেবা অনুমোদিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নতুন সদস্য অন্তর্ভূক্তি, নিবন্ধনের পর থেকে আয় ব্যয় এবং উন্নয়ন কর্মকান্ডের অডিট, সদস্য তালিকা হালনাগাদ, গঠনতন্ত্র সংশোধন, নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ ৯টি নির্দেশনা দেন। সেই অনুযায়ী প্রেসক্লাব প্রশাসক সদস্য অন্তর্ভূক্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এরপর তারিখে ২০৫ জন সাংবাদিকের খসরা তালিকা প্রকাশ করেন। সেগুলো যাছাইবাছাই শেষে গত ১৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে ১০৫ জন জনকে চুড়ান্ত সদস্য করে তালিকা প্রকাশ করেন প্রেসক্লাব প্রশাসক। এই কার্যক্রমে কোথাও কোনভাবে রংপুর জেলা প্রশাসকের কোন সংশ্লিস্টতা নেই।
মূলতঃ সমাজসেবা অধিদপ্তরের এই স্বচ্ছ প্রক্রিয়াকে বাঁধাগ্রস্ত করতে বরখাস্তকৃত সাধারণ সম্পাদক ভুল তথ্য উপাথ্য দিয়ে সহকারি মহানগর জজ আদালতে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় নিম্ম আদালত সদস্য অন্তূর্ভুক্তির বিষয়ে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিলে প্রেসক্লাব প্রশাসক ওই আদেশের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন। গত ২২ অক্টোবর’২৫ তারিখে মাননীয় জেলা জজ আদালতের বিচারক অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে আদেশে বলেন, “নথি, দাখিলীয় দরখাস্ত ও বিজ্ঞ কৌশলীর বক্তব্য পর্যালোচনা করিলাম। পর্যালোচনাক্রমে দেখা যায় যে, বিজ্ঞ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত রংপুর এর অন্য-২৭৭/২০২৫ নম্বর মোকাদ্দমার বিগত ২৬.০৮.২৫ খ্রীঃ তারিখের আদেশের কার্যকারিতা চলামান থাকিলে আপীলকারী পক্ষ ন্যায় বিচার হইতে বঞ্চিত হইবেন। ন্যায় বিচারের স্বার্থে আপীলকারী পক্ষের আনীত স্থাগীত দরখাস্ত অংশিক মঞ্জুর করা হইলো।’ সর্বশেষ গত ৩০ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে শুনানী শেষে গেলো ২ নভেম্বর রায়ে বিজ্ঞ বিচারক প্রেসক্লাবের প্রশাসকের আপিল আবেদন মঞ্জুর করে প্রেসক্লাবের প্রশাসকের পক্ষে রায় দেন। অর্থাৎ সদস্য অন্তর্ভুক্তি এবং রংপুর প্রেসক্লাবের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে প্রেসক্লাব রংপুর প্রশাসকের আর কোন বাঁধা নেই।
এই তথ্য প্রমাণে স্পস্ট রংপুরের ডিসি জনাব মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল কোনভাবেই রংপুর প্রেসক্লাবের কোন কার্যক্রমে জড়িত নন। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাকে জড়িয়ে পত্রিকাটি মিথ্যা ও অসত্য তথ্য প্রকাশ করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার অপেচস্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও ওই সংবাদে ডিসির বিরুদ্ধে শুধু অভিযোগের তথ্য ছড়িয়েছে পত্রিকাটি। কোন প্রমাণ উপস্থাপন করেনি। এতেও স্পস্ট রংপুরের ডিসি জনাব মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালকে এই সংবাদের মাধ্যমে বিতর্কিত করার অপচেস্টা করা হয়েছে।
								
															

