নিজেস্ব প্রতিবেদক:– চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রচার করার সময় কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের গাড়ি বহরে হামলার ২৪ ঘন্টা পর মামলা নিয়েছে মিরসরাই থানায় মামলায় ১০ জনকে এজাহারনামীয় ও ২০ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
১৮ জুন, রবিবার বিকেলে হামলায় আহত হওয়া ভূক্তভোগী যুবলীগ কর্মী আছিফুর রহমান শাহীন বাদী হয়ে মিরসরাই থানায় মামলাটি করেন। এজাহারনামীয় অভিযুক্তরা হলেন,জাহাঙ্গীর হোসেন প্রকাশ জাহাজ মাস্টার, তৌহিদ আনোয়ার বাপ্পি, ফিরোজ খান, আবুল হাসনাত , আবদুল্লাহ আল নাঈম রবিন, আবু নসর রিপন, আমিনুল ইসলাম আমিন , মোমিনুল ইসলাম, তোফায়েল উল্লাহ চৌধুরী নাজমুল এবং ওমর ফারুক।
অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচারণার জন্য শনিবার (১৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরসরাই ইকোনমিক জোনের দিকে যাচ্ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট। এসময় সড়কে বালুর ট্রাক দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন মঘাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন। পরে জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে তৌহিদ আনোয়ার বাপ্পি, আবদুল্লাহ আল নাঈম রবিন, ফিরোজ খান, আবু নাসির রিপন, মোমিনুল ইসলামসহ প্রায় অর্ধশত অস্ত্রধারী হামলা চালায়।
এ ঘটনায় নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের প্রধান রাজনৈতিক সমন্বয়ক ও বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক যুবলীগ কর্মী আছিফুর রহমান শাহীন, মো. আলী, রমজান আলী বাবলু, শওকত আজিম রিংকু, মো. শাহাবুদ্দিনসহ আরও বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন আহত আছিফুর রহমান শাহীন। তিনি বলেন, গাড়ি বহরে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় মিরসরাই থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, গতকাল মিরসরাইয়ে দু’পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনায় এক পক্ষের মধ্যে আছিফুর রহমান শাহীন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন।