স্টাফ রিপোর্টার: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিককে প্রান নাশের হুমকিসহ শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। ওই এলাকায় পরিচিত এনাম বাহিনীর প্রধান এনামের নেতৃত্বে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিসহ মোবাইল ও ক্যামরো ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ওই সন্ত্রাসী বাহিনী। এবিষয়ে ঐ সাংবাদিক মাধবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিক ও সচেতন মহল। ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই সাংবাদিক। গত রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় উপজেলার ১১নং বাঘাসুরা ইউনিয়নের হরিতলা গ্রামে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে এমন হুমকিসহ লাঞ্ছিত হতে হয় আনন্দ টিভির হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি শেখ শাহাউর রহমান বেলালকে।
জানাযায়, ওই এলাকার মৃত আনোয়ার আলীর ছেলে কুদরত আলী বেশকিছুন দিন ধরে পারিবারিক ঝামেলাসহ বিভিন্ন মামলা মোকাদ্দমায় জড়িয়ে পড়েন। গেল শনিবার রাতে কুদরত আলী মামলা সংক্রান্ত নিউজ করাতে মুঠোফোনে তার বাড়িতে ডাকেন ওই সাংবাদিককে। রবিবার দুপুরে ওই সাংবাদিক তার বাড়িতে গিয়ে দেখেন শালিস বিচার হচ্ছে। বাড়িতে ডুকতেই চেয়ারে বসে থাকা পাশের বাড়ির মৃত নবীর হোসেনের ছেলে এনাম মিয়া সাংবাদিককে দেখা মাত্রই তার লোকজনকে হুকুম দেয় সাংবাদিককে আটক করে মেরে ফেলো। তাকে ধরে আমার বাড়িতে নিয়ে যাও।
এসময় তার কথামত কাদির মিয়ার ছেলে রোমান মিয়া (২১) ও বাছির মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া (১৯) সাংবাদিক শেখ বেলালকে ঝাপটে ধরে। এসময় আরও দু তিনজন তার কাছে থাকা ব্যাগ, ক্যামেরা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। টানা হেচরা করে বাড়িতে নেয়ার সময় উপস্থিত শালিস বিচারে আসা বিচারকগণ এগিয়ে এসে ওই সাংবাদিককে রক্ষা করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়।
সাংবাদিক শেখ বেলাল বলেন, ‘আমি বাড়িতে ডুকা মাত্রই এনাম তার লোকজনকে হুকুম দেয় আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে মেরে ফেলতে। হঠাৎ করে দুজন যুবক আমার দিকে তেড়ে আসে। তারা কোন কিছু না বলে আমার দু হাত ধরে টানতে থাকে। দু তিনজন আমার ব্যাগ, ক্যামেরা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। উপস্থিত লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে। এসময় আমার প্যান্টে থাকা মানিব্যাগটি কে যেনো নিয়ে যায়। মানিব্যাগে আমার ২০ হাজার টাকা ও জরুরী কাগজপত্র ছিলো। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এবিষয়ে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাকিবুল ইসলাম খান, বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।