বনি আমিন, কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কে এই জাকির তেজগাঁও ট্রাফিক এ চাকরি করা কালিন ২০০৪ সালে চাঁদাবাজি করার কারনে নব্য গঠিত র্যাবের হতে
গ্রেফতার হন। এ বিষয় তেজগাও থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলাও হয়েছে তার নামে।
সে মামলায় জাকির জেল খাটে চার বছর চাকরিচুত ছিলেন আরও জানা যায় মুন্সিগঞ্জে চাকরি করা কালিন সময়ে মাওয়া ঘাটে চাঁদাবাজির টাকা নেওয়া প্রতিবাদ করায় ১৭ ব্যাচ সার্জেন্ট রাসেল এর সাথে ঝগড়া হয়েছে। বিষয় টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নজরে আসে এবং জাকির’কে ঢাকা রেঞ্জে ১বছর অধিক সময় ক্লোজ করে রাখা হয় ।
কথায় আছে কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না, তেমনি তার স্বভাবের পরিবর্তন হয়নি এখনো, এই ধারাবাহিকতা ঢাকা জেলা দক্ষিণ ট্রাফিক এডমিনের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে কেরানীগঞ্জে মাসোয়ারা চালু করেছেন টিআই জাকির, অনুসন্ধান করে জানা যায় আগে কখনো কোনো টিআই মাসোয়ারা নিতো না ।
কেরানীগঞ্জের কদমতলী গোল-চত্বর এলাকায় প্রতিটা সিএনজি স্ট্যান্ডে থেকে মাসিক ৩০০থেকে ৪০০ টাকা চাঁদা নেন টিআই জাকির, প্রেরাই আটশত সিএনজি কেরানীগঞ্জে, প্রতিটা সিএনজি স্ট্যান্ড এর চাঁদার টাকা কালেকসন করে টিআই জাকিরের ঘনিষ্ঠ লোকজন মাসোয়ার দিতে দেরি করলেই ১৫০০ থেকে ২০০০ হাজার টাকা রেকার বিল করা হয়।
প্রাইভেটকার স্ট্যান্ডের থেকে প্রতিদিন তার ব্যক্তিগত কাজের জন্য একটি গাড়ি দিতে হবে অন্যথায় স্ট্যান্ডে রেকার এনে রাখা হয়। মঙ্গলবার ও বুধবার সারাদিন তার ব্যক্তিগত কাজে স্ট্যান্ড থেকে একটি নোয়া গাড়ি নিয়ে অফিসে কাজকর্ম করে।
গাড়ি তার নিজের বাসায় নিয়ে রাখে ও তার নিজস্ব ড্রাইভার দিয়ে চালান। নোয়া গাড়িটি দুইদিন পড় ফেরত দেন, নোয়া গাড়ির ড্রাইভার নাগর’কে । মাসিক চুক্তিতে আনা মালিক জালাল কে ৫০০শত টাকা হাতে ধরিয়ে দেয় ।
আজকে স্ট্যান্ডের থেকে টিআই জাকির ব্যক্তিগত কাজেই জন্য গাড়ি চান গাড়ি না দেওয়া তে স্ট্যান্ডে রেকার এনে রাখা হয়। এবং টিআই জাকির বলে আমাকে প্রতিদিন একটি গাড়ি না দিলে এই স্ট্যান্ডের গাড়ি রাখতে দেওয়া হবে না।
কেরানীগঞ্জ প্রতিটা স্ট্যান্ডের ড্রাইভার ও মালিকদের কাছ থেকে মাসোয়ারা হিসেবে প্রেরাই দশ লক্ষ টাকা চাঁদা তুলে টিআই জাকিরের নেতৃত্বে। বেশ কয়েকজন বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার, মাহিন্দ্রা, সিএনজি ড্রাইভার ও মালিকের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, ঢাকা জেলা দক্ষিণ ট্রাফিক বিভাগের পুলিশের এডমিন টিআই জাকির নির্দেশনায় চলে এ চাঁদা আদায়।
টি আই জাকির গাড়ীর মালিকদের চা খাওয়ার দাওয়াত দিয়া মিষ্টি মিষ্টি কথা বলিয়া চাঁদার কথা বলেন,সে জানায় তার ঔ চেয়ারের দাম আলাদা তাই তাকে অন্য ভাবে মূল্যায়ন করতে হবে,মানে বেশী টাকা দিতে হবে, এখানে আসতে তার নাকি অনেক চেষ্টা,অনেক টাকা খরচ করে আসতে হয়েছে,তাই ঐ টাকা উঠাতে তাকে সহযোগিতা করবেন।
চাঁদাবাজির স্পটগুলো।হাসনাবাদ, পোস্তগোলা, রাজেন্দ্রপুর, আব্দুল্লাহপুর, কদমতলী, জনি টাওয়ার, খোলামোড়া, রামেরকান্দা, ঘাটারচর, হিজল তলা। এ বিষয়ে টি আই জাকির কে সাংবাদিক মুঠোফোনে কল দিয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন টি রিসিভ করে কথা বলেনি। পরে ফোনটি রেখে দেন, একাধিকবার ফোন দিলে সে আর ফোনটি রিসিভ করেনি।